অনুমোদন ছাড়াই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ঘর বিক্রির অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

জাতীয় সারা বাংলা

মানিকগঞ্জ, প্রতিনিধি: সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে পুরাতন ঘর দপ্তরির কাছে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

মানিকগঞ্জ সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের বাহাদিয়া ইমাম নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আসন বাড়াতে নতুন করে ৭(সাত) লক্ষ টাকার সরকারি বরাদ্দ পান। আলোচনায় থাকেন যে সাবেক টিনসেট ঘর ভেঙে বিক্রি না করে ঘরের পুরাতন মালসহ নতুন বরাদ্দকৃত মালামালের সাথে মিলিয়ে আসন বাড়িয়ে ঘর উত্তোলন করার কথা থাকলেও আইন বহির্ভূত ভাবে নিজস্ব প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ের দপ্তরি ইমরানের কাছে বিক্রি করে দিলে প্রধান শিক্ষক দেলোয়া হোসেন।

গত এপ্রিলের ১০ তারিখে কমিটির সভাপতি ও দাতা সদস্যের অনুপস্থিতিতে স্কুলের একটি রেজিলেশন খাতায় প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন লিখিত ভাবে উল্লেখ করেন, পুরাতন ঘর বিক্রির অনুমোদনের বিষয়ে আলোচনা ও সরকারি বরাদ্দের নতুন স্কুল ঘর উত্তোলনের বিষয়ে আলোচনা সভা।

একালাবাসি অনেকেই বলেন, আমাদের সিংগাইর উপজেলায় সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়টি অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত। কিন্তু স্কুলের পড়াশোনার মান একদমিই নাই। প্রতি বছরেই স্কুল শিক্ষার্থী কমতাছে। প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন তার দুই ভাই বিএনপির বড় নেতা হওয়ায় সে কাউকেই পরোয়া করেনা। ঠিক মত স্কুলে সময় না দেওয়ায় স্কুল শিক্ষার্থী প্রতি বছরেই কমতে শুরু করেছে।

দাতা সদস্য ডাঃ শওকত হোসেন বলেন, আমাকে প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন স্কুলের পুরাতন ঘরটির বিষয়ে বলেছেন ৮(আট) হাজার টাকা বিক্রি করেছে এবং আমি উক্ত মিটিংএ অনুপস্থিত থাকায় সাইন করি নাই।

দপ্তরি ইমরান বলেন, পুরাতন ঘর প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি। কমল মতি স্কুল শিক্ষার্থীদের দিয়ে গাড়িতে ইট উঠানোর বিষয়ে বলেন, বাচ্চারা ইচ্ছে করে উঠাচ্ছে।

প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে স্কুলের সাবেক টিনসেট ঘরটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো এখন আমাদের টিও স্যারের সাথে কথা বলে দপ্তরির কাছে বিক্রি করা মালামাল ফিরত আনা হচ্ছে।

এবিষয়ে সিংগাইর উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুলতানা আসমা খান বলেন, আমি জানি স্কুল ঘরের জন্য ৭(সাত) লক্ষ টাকার নতুন বরাদ্দ এসেছে। পুরাতন ঘরের মালামালও নতুন ঘরের সাথে মিলিয়ে কাজ করা হবে। বিক্রির অনুমতি নেই। কমল মতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে দপ্তরির ইট গাড়িতে উঠানোর বিষয়ে জানিনা।